শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্টির দায়িত্ব এখন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং এইচ এম এরশাদের ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের কাছে। ৫ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে এইচ এম এরশাদ জানিয়েছেন, তার অবর্তমানে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে অবস্থানকালে পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তার ছোট ভাই ও দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
এইচ এম এরশাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমার অবর্তমানে বা চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে থাকাকালীন পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
জানা যায়, এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, না জি এম কাদের- এ নিয়ে দলে আরেক দফা ভাঙনের আশঙ্কা করছিল নেতা-কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এইচ এম এরশাদের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করবেন। আর এইচ এম এরশাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জি এম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনা করবেন। সবাই তাদের সহযোগিতা করবেন।
জানতে চাইলে পার্টির সাবেক মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘পল্লীবন্ধুর বিদায়ে আমরা কাতর। এই সময়ে দলে ঐক্য বেশি প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধভাবে সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে আমরা বিদায় জানাতে চাই। প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এমন কোনো বিষয় আমাদের এখন সামনে টেনে আনা উচিত হবে না।’
আরেক সাবেক মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু পল্লীবন্ধু এরশাদ যে সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন সে অনুযায়ী দল পরিচালনা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সব সিদ্ধান্ত নেব। এইচ এম এরশাদকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর অন্যতম পথ হচ্ছে দলে ভাঙন না ঘটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। আমি বিশ্বাস করি, এই ইস্যুতে দল ভাঙবে না।’
আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘প্রয়াত সাবেক এই রাষ্ট্রপতির শেষ অছিয়ত অনুযায়ী তার ছোট ভাই জি এম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের পল্লীবন্ধুর অপূর্ণ স্বপ্ন সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুঃখী মানুষের মুখে আহারের ব্যবস্থা করার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য জাতীয় পার্টিকে আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে যেতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, মৃত এরশাদ পার্টিতে জীবিত এরশাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।’